কক্সবাজারের মহেশখালীর চাঞ্চল্যকর খাইরুল আমিন সিকদার হত্যা মামলায় ৬ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় ২০ জনকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে।
মামলার ৩২ বছর পর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আবদুল্লাহ আল মামুন বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিতদের মধ্যে ৫ আসামি আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারি দেলোয়ার হোসাইন। রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সুলতানুল আলম মামলাটি পরিচালনা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মহেশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র সরওয়ার আজম, তার ভাই মহেশখালী উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মৌলভী জহির উদ্দীন, গোরকঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামশুল আলম, অ্যাডভোকেট হামিদুল হক ও মৃত মোজাহের মিয়ার ছেলে নাসির উদ্দিন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০ সালের ৯ এপ্রিল বিকেল ৫টার দিকে মহেশখালীর গোরকঘাটা বাজারে দুর্বৃত্তের গুলিতে খুন হন কক্সবাজার জেলা পরিষদের তৎকালীন সদস্য ও তরুণ রাজনীতিবিদ খাইরুল আমিন সিকদার (২৮)। তিনি গোরকঘাটার মৃত হামজা মিয়া সিকদারের ছেলে। ঘটনার পরদিন নিহত খাইরুল আমিন সিকদার এর বড় ভাই মাহমুদুল করিম সিকদার বাদী হয়ে ২৫ জনকে আসামি করে মহেশখালী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
সিআইডির তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) ১৯৯০ সালের ২৪ নভেম্বর নতুন আরও একজন আসামিকে যুক্ত করে মোট ২৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাটির চার্জশিট দাখিল করে। চার্জশিটের ২৬ আসামির মধ্যে ইতোমধ্যে সাত জন মারা গেছেন। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট মামলাটির অভিযোগ গঠন করে আদালতে বিচার শুরু করা হয়।
৩৪ সাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বৃহস্পতিবার ওই ছয় জন আসামিকে দোষী করে বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।